Connect with us

ক্রিকেট

শ্বশুরবাড়ি সিলেটে গিয়ে আবেগাপ্লুত মইন

২০০৫ সালে সর্বপ্রথম অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন মইন আলি। এরপর নানান সময়ে খেলার তাগিদে আসতে হয়েছে বাংলাদেশে। কিন্তু এবারের অনুভূতিটা একটু অন্য। আবেগ-অনুভূতির মিশ্রণে এবার আপ্লুত মইন আলি। যে শহরে তার আত্মীয়তার বন্ধন, যে শহরের জামাই তিনি, সে শহরে পা রাখতেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ইংল্যান্ডের এই দুর্দান্ত অলরাউন্ডার মইন আলি।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সিলেট পর্বের খেলায় অংশ নিতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে সিলেটে অবতরণ করার পর তার নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন মইন আলি। সিলেটের পীর মহল্লা এলাকায় মইনের স্ত্রী ফিরোজার পৈতৃক বাড়ি। ফিরোজা বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত। তার পিতা পরিবার সহ ছোটবেলাতেই ইংল্যান্ডে পাড়ি জমালেও মাঝে মাঝেই পা রাখেন তার জন্মভূমিতে।

অতীতে কয়েকবার বাংলাদেশে আসা হলেও যাওয়া হয়নি সিলেটে। খেলার সুবাধে হয়তো ঢাকা চট্টগ্রাম ঘোরা হয়েছে, কিন্তু নিজের শ্বশুরবাড়ি সিলেটের মাটির গন্ধ নিতে পারেন নি এই খেলোয়াড়।

২০১৬ সালে যখন হলি আর্টিজানে হামলার ঘটনা ঘটে তখন অনেক ইংল্যান্ড খেলোয়াড়ই নিরাপত্তার কথা ভেবে বাংলাদেশে আসতে চান নি। কিন্তু ব্যাতিক্রম ছিলেন এই অফস্পিনার অলরাউন্ডার। স্বাচ্ছন্দেই এসেছিলেন বাংলাদেশে তিন ওয়ানডে এবং দুই টেস্ট খেলতে। তার পেছনে অবশ্য রয়েছে তার সহধর্মিণীর প্রভাব।

বাংলাদেশে যতবারই এসেছেন ততবারই নিজের ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন সিলেটে যাওয়ার। কিন্তু সুযোগের অভাবে তা হয়ে উঠেনি। আর দীর্ঘ ছয় বছর পর এবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ খেলতে এসে ভ্যানুর সুবাধে সিলেট যাওয়ার সুযোগ হয়েছে তার।

প্রথমবারের মত সিলেটে যাওয়ায় আপ্লুত তিনি, পাশাপাশি শিখতে চান সিলেটি ভাষাও। যদিও ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ভাষাই তিনি রপ্ত করেছেন। পাকিস্তান বংশোদ্ভূত মইন আলি বেড়ে উঠেছেন ইংল্যান্ডে। দাদা ইংল্যান্ডে পাড়ি জমিয়েছিলেন পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীরের মিরপুর থেকে। আর তাই বাংলাদেশ, পাকিস্তান কিংবা ইংল্যান্ড তার কাছে ভিন্ন কিছু নয়। সবই তার বাড়ির মতন।

আজ সিলেটে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিনয়ী মইন আলি বলেন, ‘বাংলাদেশও বাড়ি, পাকিস্তানও বাড়ি, ইংল্যান্ডও বাড়ি। আমার কাছে সব একইরকম মনে হয়। আমার শ্বশুরবাড়ির সবাই এখানের। তাদের সবার প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা রয়েছে। আমি প্রথমবার সিলেটে এলাম। তারা সবসময় আমাকে বলে, সিলেটে চলো, সিলেটে চলো। কিন্তু সময় বের করতে পারি না।’

করোনা ভাইরাস সুরক্ষা প্রটোকল মোতাবেক জৈব সুরক্ষার কারনে সিলেট শহরে ঘুরে দেখতে কিংবা কারো সাথে মিশতে পারবেন না মইন। সেই আক্ষেপ থাকলেও সিলেটের মাটিতে যে পা রাখতে পেরেছেন, তাতেই তিনি খুশি। তিনি বলেন, ‘এবার সিলেটে এসে ভালো লাগছে। এটি দুঃখজনক যে (জৈব সুরক্ষা বলয়ের কারণে) বাইরে কোথাও যেতে পারবো না। তবে এখানে এসে খুব আনন্দিত আমি। কারণ আমার পরিবার এখানের। তাই সিলেটে এসে আমি অনেক খুশি।’

সিলেটি ভাষা শেখার আগ্রহ প্রকাশ করে মইন আলি বলেন, ‘আমি কিছু সিলেটি শব্দ জানি। সত্যি বলতে, আরও বেশি শিখতে পারলে ভালো হতো। আমি আরও শেখার চেষ্টা করবো, যেহেতু এখানে এসেছি। হোটেলে ছেলেরা আমার সঙ্গে সিলেটি ভাষায় কথা বলে। তাই আমাকে আরও সিলেটি শব্দ শিখতে হবে।’

Advertisement

More in ক্রিকেট