Connect with us

ক্রিকেট

মৃত্যুঞ্জয়ের অভিষেক হ্যাটট্রিক রেকর্ডে জয় চট্টগ্রামের

যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের পেসার ছিলেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে শনিবার সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের দেখা পান এই পেসার। এনামুল হক বিজয়, মোসাদ্দেক হোসেন ও রবি বোপারার উইকেট নেওয়ার মাধ্যমে অভিষেক ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।

২০১৯ সালের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে অফস্পিনার আলিস আল ইসলামও ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে অভিষেকে হ্যাটট্রিক করেছিলেন।

২০ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় অবিশ্বাস্য, দুর্দান্ত এক দিন উপহার দিলেন দর্শকদের। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ছক্কা বৃষ্টির ম্যাচে ইনিংস শেষের দিকে ১৮ তম ওভারে এসে খেল দেখালেন চট্টগ্রামের এই পেসার।

বিপিএলে ৬ষ্ঠ বোলার এবং বাংলাদেশিদের মাঝে তৃতীয় বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিকের দেখা পেলেন মৃত্যুঞ্জয়।

অবশ্য শুরুতে ব্যাটারদের তোপের মুখে পড়েছিলো চট্টগ্রামের বোলাররা। এনামুল ও কলিন ইনগ্রাম ঝড় তুলেছিলেন জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে। ইনগ্রাম ৫০ রানে ফিরে গেলেও এনামুল তখনো ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে আছেন ৭৮ রান নিয়ে। সিলেটের জয়ের জন্যে প্রয়োজন তখন ১৬ বলে ৩৯ রান। এনামুলের সেঞ্চুরি আর সিলেটের জয়ের ঘ্রাণে চারিদিক যখন মুখরিত তখনই ভেলকি দেখালেন অভিষিক্ত মৃত্যুঞ্জয়।

রুদ্ধশ্বাস এই ম্যাচে ১৮তম ওভারের প্রথম দুই বলে ছক্কা ও চার হজম করতে হয় মৃত্যুঞ্জয়কে। তৃতীয় বলেই শুরু হয় ধ্বস। এক্সটা কাভারে নাসুমের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন সিলেটের সবথেকে গুরত্বপূর্ণ উইকেট এনামুল (৭৮)। পরের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে আফিফকে ক্যাচ তুলে ফেরেন মোসাদ্দেক। তৃতীয় উইকেট হিসেবে উইকেটে জমে যাওয়া রবি বোপারাকে বোল্ড করে পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিক।

মৃত্যুঞ্জয় স্পর্শ করেন বিপিএলের ৬ষ্ঠ বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিকের রেকর্ড। সাথে এনে দেন নিজ দলকে জয়। জেতার আশা ভেঙ্গে যায় সিলেটের।

২০১৫ বিপিএলে বরিশাল বুলসের হয়ে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিক করেছিলেন আল আমিন হোসেন। তার পরের হ্যাটট্রিকটি করেছিলেন আলিস ইসলাম। আর এবার মৃত্যুঞ্জয়।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৫ উইকেট হারিয়ে ২০২ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয় সিলেটের উদ্দেশ্যে। উইল জ্যাকস করেন ১৯ বলে ৫২, আফিফ হোসাইন ২৮ বলে ৩৮,সাব্বির ২৯ বলে ৩১ এবং হোয়েলের ২১ বলে ৪১ রানে ভর করে চট্টগ্রাম এমন বিশাল দলীয় রান সংগ্রহ করেন।

জবাবে এনামুল হক ৪৭ বলে ৭৮ এবং ইনগ্রাম ৩৭ বলে ৫০ রান করে সিলেটকে জয়ের কাছাকাছি নিয়েছিলেন। কিন্তু সব শেষ রক্ষা হলোনা তাদের। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ১৬ রানে পরাজিত হয় সিলেট সানরাইজার্স।

বিপিএলের ৫ হ্যাটট্রিকঃ

মোহাম্মদ সামি, ২০০৫ (দূরন্ত রাজশাহী)
আল আমিন হোসেন, ২০১৫ (বরিশাল বুলস)
আলিস আল ইসলাম, ২০১৯ (ঢাকা ডায়নামাইটস)
ওয়াব রিয়াজ, ২০১৯  (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স)
আন্দ্রে রাসেল, ২০১৯  (ঢাকা ডায়নামাইটস)
মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, ২০২২ (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স)

Advertisement

More in ক্রিকেট