Connect with us

ক্রিকেট

নির্বাচকদের বিবেচনায় নেই ইমরুল কায়েস

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৮১ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলো ইমরুল কায়েস। আর তাতে তার জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে শুরু হয় টুকটাক আলোচনা। কিন্তু নির্বাচকের আসনে বসা কর্মকর্তাদের তো শুধু একটা ইনিংস দেখলে হয়না। তাদের মাথায় রাখতে হয় বড় একটা চিত্র। সার্বিক বিবেচনা করে সে চিত্র বিচার বিশ্লেষণ করেই নিতে হয় সিদ্ধান্ত। আর সেদিক থেকে অনেকটা পিছিয়ে আছেন বাঁহাতি এই স্পিনার। দীর্ঘ একটা সময় ধরেই ভালো রান নেই তার ব্যাটে। সাবেক ক্রিকেটার এবং বর্তমানে নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক বললেন এমন কথাই, এই মুহুর্তের ইমরুল ধারাবাহিক নন।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়কত্ব করা ইমরুল কায়েসের এবারের বিপিএলের আসরেও খুব একটা প্রানবন্ত খেলা দেখা যাচ্ছেনা। চট্টগ্রামের বিপক্ষে খেলা ম্যাচটির আগে চারটি ম্যাচে রান পেয়েছিলেন ১০, ১৫, ১ ও ২৮ রান।

এর আগে প্রথম শ্রেনীর দুই টুর্নামেন্ট জাতীয় ক্রিকেট লিগ ও বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগেও দেখাতে পারেন নি ভালো খেলা। জাতীয় লিগে খুলনা বিভাগের হয়ে ৬ ম্যাচে ৯ ইনিংসে করেছিলেন মাত্র ১৯৭ রান। গড় মাত্র ২১.৮৮ রান। একই চিত্র দেখা যায় অপর টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগেও। ৩ ম্যাচে ৬ ইনিংসে করেন ১৫০ রান। গড়ে ২৫ রান।

সাদা পোশাকে অবশ্য ভালো খেলতে না পারলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের ওয়ানডে সংস্করণে রঙ্গিন পোষাকে নিজের খেলায় আনতে পেরেছিলেন কিছুটা ছন্দ। ৩ ম্যাচে দুই অর্ধশতক করে ১৬৫ রান নিয়ে হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।

চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৮১ রানের সেই ইনিংসের পর যেনো নিজের ছন্দে ফেরার আভাস দিলেন ইমরুল কায়েস। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট নন রাজ্জাক। রোববার সংবাদমাধ্যমকে ইমরুলের দলে ফেরা নিয়ে তিনি জানান, ইমরুলের আরো ধারাবাহিকতার দরকার আছে।

তিনি বলেন, “ইমরুলের কথা বললেন, ইমরুল গত ম্যাচটা ভালো খেলেছে। (ধারাবাহিক) পারফরম্যান্স করছে এটা বললে ঠিক হবে না। ও কিন্তু অনেকদিন ভালো খেলেনি। আপনি জাতীয় লিগ থেকে যদি চিন্তা করেন, তাহলে কিন্তু ‘আপ টু দা মার্ক’ না। কিন্তু আমি ওকে দোষ দিচ্ছি না। কারণ, খেলোয়াড়দের ভালো সময়, খারাপ সময় থাকবেই। আপনি যেহেতু বললেন, পারফরম্যান্স করছে, তাই বললাম। গত ম্যাচে খুব ভালো খেলেছে সন্দেহতীতভাবে।”

বিপিএলের পরপরই শুরু হবে আফগানিস্তানের সাথের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ। আর তাতে দল গঠনের জন্যে জাতীয় দল এবং বাহিরের খেলোয়াড়দের প্রতিও নজর রাখছেন নির্বাচকরা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “যেহেতু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট চলছে, ওইদিকে টি-টোয়েন্টি সিরিজ আছে। অবশ্যই দেখার বিষয়। খেয়াল রাখা হচ্ছে (জাতীয় দলের) বাইরে থাকাদেরও। এতে আমাদেরও সুবিধা হয়েছে, তেমনি খেলোয়াড়দের জন্যও সুবিধা হয়েছে। যদি পারফর্ম করে বা ওইরকম প্রমিনেন্ট হয় তাহলে অবশ্যই সুযোগ থাকবে।”

২০১০ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় ইমরুল কায়েসের। কিন্তু অভিষেক ম্যাচেই শুন্য করে আউট হন তিনি। ১৩ ইনিংসে তার মোট রান মাত্র ১১৯, স্ট্রাইক রেট ৮৮.৮০। গড় ৯.১৫, সর্বোচ্চ ৩৬। ওই একবারই যেতে পেরেছিলেন ত্রিশের ঘরে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটে তার পারফরম্যান্সের যা অবস্থা তাতে বিপিএলে খুব অভাবনীয় কিছু না করলে দলে ফেরাটা খুবই কষ্টকর মনে করিয়ে দিয়ে রাজ্জাক বলেন, “পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করেই দল করা হবে। যারা পারফরম্যান্স করে না, আমি মনে করি, তাদেরকে নিয়ে লাফালাফি করা ঠিকও না।”

Advertisement

More in ক্রিকেট