Connect with us

ক্রিকেট

সিমন্সকে ভুলিয়ে সেঞ্চুরিতে সব গুঞ্জনের জবাব তামিমের

কাঙ্ক্ষিত বলটা বাউন্ডারি স্পর্শ করার পথেই মুষ্টিবদ্ধ হাতে ঘুষি মারলেন আকাশে। এই বাউন্ডারিই এনে দিয়েছে তিন অংক। সুযোগ করে দিয়েছে অনেক না বলা কথার দৃশ্যমান জবাব। তার জন্যেই এমন বুনো উদযাপন বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবালের।

বেশ কিছুদিন ধরেই নানান আলোচনা সমালোচনা তাকে নিয়ে। স্ট্রাইক রেট নিয়ে সমালোচনা কিংবা দলে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা, নানান জল্পনা কল্পনা। চুপ ছিলেন দীর্ঘদিন, কে জানে হয়তো ব্যাটেই দিতে চেয়েছিলেন জবাব। জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে আজ দর্শক ঢোকার সুযোগ থাকলে হয়তো ব্যানারে-প্ল্যাকার্ডে থাকতো, “তামিম, ফিরে আসুন টি-টোয়েন্টি তে”।

বাংলাদেশের মারকুটে এই ব্যাটসম্যান, যিনি একবার খেলা ধরতে পারলে বোলারদের করেন কচুকাটা, তার নামের পাশে ” টি-টোয়েন্টি তে যায় না” কথাটা বড্ড বেমানান। সকল কিছুর জবাবই যে মুখে দেওয়া যায়না, তা তামিম দেখিয়ে দিয়েছেন। বিপিএলের প্রথম দুই ম্যাচে ফিফটি, আর আজ সেঞ্চুরি যেনো তারই জবাব।

ঘরের মাঠে তামিমের এই দুর্দান্ত ঝড়ো ইনিংসে ভর করেই জয়ের ধারায় ফিরলো ঢাকা। ১৭৬ রানের বিশাল রান তাড়া করেই জেতে তার দল। তাতে মুছে গেল লিন্ডল সিমন্সের অনবদ্য শতরানের ইনিংসটা।

একযুগেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ তামিম। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে টি-টোয়েন্টি তে তার ব্যাটিং স্টাইল নিয়ে শুনতে হয়েছে অনেক কথা। আর সেই অভিমান থেকেই হয়তো জানান দিয়েছেন, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে চান না তিনি। তারপর শতকের এই অনবদ্য ইনিংস। ঠান্ডা মাথায় পেশাদারি পরিচয় দিয়ে খেলেছেন গোটা ম্যাচ।

ঢাকা পর্বে হতাশ ছিলেন ব্যাটাররা, আর তাই সকলেরই  আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিলো জহুর আহমেদের ওই বাইশ গজের মাঠটা। আর এই মাঠই রানপ্রসবা বানিয়ে দেয় সিমন্সকেও। তার করা বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরিতে ভর করে সিলেটও পায় ১৭৫ রান।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে সিলেট। দুই ওপেনার সিমন্স ও এনামুল হক বিজয় দলকে এনে দেয় দারুন শুরু। প্রতিপক্ষের বোলিংয়ের উপর ঝড় তুলে ৩৪ বলে তুলে নেন ৫০। তারপর বিজয় ফেরেন সাজ ঘরে। কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকেন সিমন্স। ঢাকার মোটামুটি সব বোলারের উপরই ঝড় তোলেন সিমন্স। ৬৫ বলে ১৪ টি চার এবং ৬ টি ছক্কায় ১১৬ রান করে ১৯ তম ওভারের চতুর্থ বলে রাসেলের বলে শেষমেশ ফেরেন তিনি।

জহুর আহমেদের উইকেটে যে কম রান বিপদজনক তা আগেই অনেকবার প্রমাণিত হয়েছে। আর যদি জেগে উঠেন তামিম ইকবাল তা হলেতো কথাই নেই। শাহজাদও দারুন সঙ্গ দেয় তামিমকে। ৭ চার এবং ১ ছয়ে ৩৯ বলে করেন ৫৩ রান। দল যখন জয়ের একদম কাছে তখন বড় বাউন্ডারিতে দলকে এনে দিতে চেয়েছিলেন জয়। আর তাই হয়ে দাঁড়ালো কাল। সানজামুলের হাতে ক্যাচ আউট হন তিনি।

তামিমের ৬৪ বলে ১৭ টি চার এবং ৪ টি ছয়ে ১১১ রানের এক অনবদ্য ইনিংসে চাপা পড়ে গেছে সিমন্সের দুর্দান্ত ইনিংসটি।

বোলিংয়ে ঢাকার হয়ে মাশরাফি, রাসেল, এবাদত, এবং কায়েস পান ১ টি করে উইকেট। অন্যদিকে সিলেটের হয়ে একমাত্র উইকেটটি পান আলাউদ্দিন বাবু।

Advertisement

More in ক্রিকেট