Connect with us

ক্রিকেট

মৃত্যুঞ্জয়ের দুর্দান্ত বোলিংয়ে চট্রগ্রামের শ্বাসরুদ্ধকর জয়

ছবি- সংগৃহীত।

ডেষ্ক রিপোর্ট- বিপিএল অভিষেকেই হ্যাটট্রিক করেই নিজের জাত চিনিয়েছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বাঁহাতি পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। সেদিনই তিনি মিডিয়ার সামনে বলেছিলেন, একদিন চমক দেখিয়েই হারিয়ে যেতে চান না তিনি। সেটি যে নিছক বলার জন্যই বলা ছিল না, তা আরও একবার মিনিস্টার ঢাকার বিপক্ষে ম্যাচে প্রমাণ করে দেখালেন এ তরুণ বাঁহাতি পেসার।

মৃত্যুঞ্জয়ের জাদুকরী শেষ ওভারে আসরে টিকে থাকার লড়াইয়ে ঢাকার বিপক্ষে ৩ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম। ম্যাচটি জিততে শেষ ওভারে ঢাকার প্রয়োজন ছিলো ৯ রান। দুর্দান্ত বোলিংয়ে একটি নো বলের পরও ৫ রানের বেশী দেননি মৃত্যুঞ্জয়। তার এই বোলিংয়ের সুবাদে শেষ হাসি হাসে চট্টগ্রাম।

আর এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের চার নম্বরে উঠে এসেছে দলটি। পরপর তিন পরাজয়ের পর আজ দ্বিতীয় দফায় অধিনায়ক বদলে ঢাকার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল চট্টগ্রাম। নাইম ইসলামের জায়গায় আফিফ হোসেন ধ্রুবর হাতে দায়িত্ব তুলে দিয়েছে চট্টগ্রাম ফ্র্যাঞ্চাইজি। তার অধীনেই জয়ে ধারায় ফিরলো দলটি। প্রথমবারের মতো বিপিএলে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পেয়ে বোলার পরিবর্তনে বেশ মুন্সিয়ানাই দেখিয়েছেন আফিফ।

এর আগে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে ১৪৮ রান জমা করে চট্টগ্রাম। জবাবে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রানেই থামে ঢাকার ইনিংস। ওপেনিংয়ে নেমে শেষ পর্যন্ত ৭৩ রানে অপরাজিত থেকেও দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি তামিম ইকবাল

আরও পড়ুন ঃ সিডন্সকে দেখে পুরনো কষ্ট ভুলে গেছেন মাশরাফি

জয়ের জন্য শেষের ৪ ওভারে ৪০ রান প্রয়োজন ছিলো ঢাকার। তখন ইনিংসের ১৭তম ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলে চার খাওয়ার পরও সবমিলিয়ে মাত্র ৮ রান দেন মৃত্যুঞ্জয়। কিন্তু পরের ওভারে বেনি হাওয়েলের বলে এক ছক্কাসহ ১২ রান তুলে নেন তামিম ও শুভাগত হোম। ফলে টার্গেট দাড়ায় শেষ ১২ বলে ২০ রানে।

১৯তম ওভারে শরিফুল ১১ রান দিলে শেষ ওভারে বাকি থাকে ৯ রান। তখন বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই কাইস আহমেদর উইকেট তুলে নেন মৃত্যুঞ্জয়। পরে আট নম্বরে নেমে পরপর দুই বলে কোন রান নিতে পারেননি নাইম শেখ। ফলে সমীকরণ দাঁড়ায় ৩ বলে ৯ রান। পরের বলটি ওয়াইড দিয়ে বসেন মৃত্যুঞ্জয়। আর চতুর্থ বলে নাইম ১ রান নিলে আবারো স্ট্রাইক পায় তামিম।

শেষ ২ বলে প্রয়োজন ছিলো ৭ রান। পঞ্চম বলে বাই থেকে ১ রান পায় ঢাকা। শেষ বলে যখন ৬ রানের প্রয়োজন তখনই নো বল করে বসেন মৃত্যুঞ্জয়। কিন্তু সেই বলে কোনো রান নিতে না পারায় ফ্রি হিটের শেষ বলে বাকি থাকে আরও ৫ রান। সেই বলটি স্ট্রেইট খেলে মাত্র ১ রান নেন নাইম। আর এতেই নিশ্চিত হয়ে যায় চট্টগ্রামের ৩ রানের জয়। শেষ পর্যন্ত ৬ চার ও ৩ ছয়ের মারে ৫৬ বলে ৭৩ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন তামিম।

চট্টগ্রামের পক্ষে বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেন মৃত্যুঞ্জয়। এছাড়া শরিফুলও নিয়েছেন ২ উইকেট। বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ১ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১৫ রান ।

আরও পড়ুন ঃ মিরাজের পর চট্টগ্রামের অধিনায়কত্ব হারালেন নাঈমও!

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই বিদায় নেন এই ম্যাচ দিয়েই দলে আসা জাকির হাসান। তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১ রান। এরপর দলের হাল ধরেন আফিফ ও জ্যাকস। দুজনে মিলে করেন ৪০ রানের জুটি ।

আফিফ ২৭ এবং ২৬ রান করে মাঠ ছাড়েন জ্যাকস । এরপর মেহেদি হাসান মিরাজ ২ ও আকবর আলি ৯ রান করে বিদায় নিলে বিপাকে পড়ে চট্রগ্রাম। তবে দলকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন বেনি হাওয়েল ও শামীম পাটোয়ারী। এ দুজনে মিলে করেন ৫৮ রান।

ইনিংসের শেষ ওভারের পঞ্চম বলে বিদায় নেন শামীম। বিপিএল ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম ফিফটি তুলে নেন তিনি। ৫ চার ও ১ ছয়ের মারে ৩৭ বলে ৫২ রান করেন শামীম। অন্যদিকে ১৯ বলে করেন ২৪ রান করে অপরাজিত থাকেন বেনি হাওয়েল । যা চট্টগ্রামকে এনে দেয় ১৪৮ রানের মাঝারি সংগ্রহ।

ঢাকার হয়ে মাশরাফি বিন মর্তুজা, আরাফাত সানি, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, এবাদত হোসেন, কাইস আহমেদ ও ফজলহক ফারুকি নেন সমান ১টি করে উইকেট।

Advertisement

More in ক্রিকেট