Connect with us

ক্রিকেট

মুস্তাফিজ – ইমরুল নৈপুণ্যে আবারও শীর্ষে কুমিলা

বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে নির্ধারিত ১৮ ওভারে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ছুঁড়ে দেওয়া ১৩৮ রান তাড়া করতে নেমে ইমরুল কায়েস ও লিটন দাসের অনবদ্য শতরানের জুটিতে ৯ উইকেটের জয় পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আর বল হাতে তলোয়ারের দায়িত্বটা নিয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। একে একে ৫ টি উইকেট সাজঘরে ফেরানোর মাধ্যমে নাড়িয়ে দেন প্রতিপক্ষ শিবিরের ভীত। জয়ের ধারা অব্যাহত রেখে আবারো পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে আসে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

এর আগে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। কে জানে হয়তো, অধিনায়কের মাথায় ঘুরছিলো বিরুপ আবহাওয়ায় প্রতিপক্ষকে বধ করার ভিন্ন কৌশল। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামলে প্রথম ওভারেই চ্যাডউইক ওয়ালটনকে শিকার করে নেন নাহিদুল ইসলাম। খাতা খোলার আগেই পত্রপাঠ বিদায় হন ওয়ালটন।

তবে দ্বিতীয় উইকেটে দ্রুতই ৬২ রান করে দলে তার প্রভাব পড়তে দেন নি আফিফ হোসেন ও উইল জ্যাকস। পরবর্তীতে ৪ টি চার হাঁকিয়ে ২১ বলে ২৭ রান করে তানভীর ইসলামের বলে সাজঘরে ফেরেন আফিফ হোসেন।

তৃতীয় উইকেটে জ্যাকসের সাথে যোগ দেন শামীম হোসেন। দুইজনের জুটিতে আসে ৪৭ রান। ১২ ওভার ৫ বলে যখন চট্টগ্রামের দলীয় সংগ্রহ ১০৭ রান, তখনই মিরপুরের আকাশ জুড়ে নেমে আসে বৃষ্টি। ফলে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। আবারো মাঠে নেমে শামীম ২২ বলে ২৬ রান করে ফিরলেও জ্যাকস ফেরেন এবারের আসরে তার তৃতীয় অর্ধশতক পূর্ণ করে।

শুধুই যে মিরপুরের আকাশেই মেঘের ঘনঘটা, এমনটাও নয়। প্রথম ওভারে ১৪ রান দেওয়া মুস্তাফিজ তার শক্ত হাতে প্রতিপক্ষ শিবিরেও আঘাত হানতে যাচ্ছিলেন তার অপ্রতিরোধ্য ঝড়ে। পরের ওভারে এসেই ঘরে ফেরান শামীমকে। ওই একই ওভারে তুলে নেন ইনিংসের গুরত্বপূর্ণ উইকেট জ্যাকসকেও। ঠিক তারের পরের ওভারে ফিরে এসেই আবারো বধ করেন নাঈম ইসলাম ও বেনি হাওয়েলকে। মুস্তাফিজ তার টানা ১০ টি ডেলিভারির মধ্যে চারটিতেই নিয়ে নেন উইকেট। সর্বশেষ ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের উইকেট নেওয়ার মাধ্যমে বিপিএলে প্রথমবারের মতো নিজের ৫ উইকেট শিকারের নজির গড়েন বল হাতে এই যাদুকর। বিপিএলে ১৫ তম বোলার হিসেবে এই কৃতিত্ব গড়েন তিনি।

সর্বশেষ ১৮ ওভার ব্যাটিং করে চট্টগ্রামের সংগ্রহ ১৩৮ রান। জবাবে কুমিল্লার হয়ে ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নামেন ইমরুল কায়েস ও লিটন দাস। দেশীয় আবহাওয়ার সাথে সাথে যেনো পরিবর্তন এসেছে ইমরুলদের ব্যাটেও। নির্বিঘ্নে ব্যাট চালিয়ে কুমিল্লার হয়ে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঝড় তুলতে থাকেন এই দুই লড়াকু সৈনিক। তাদের এই দুইজনের ব্যাট থেকেই চলে আসে ১৩৮ রান। মৃত্যুঞ্জয়ের বলে ৪ টি চার এবং ৩ টি ছয়ে ৩৭ বলে ৫৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলা লিটন দাস ফিরে গেলেও ব্যাট হাতে অপরাজিত থাকেন ইমরুল কায়েস। ৬২ বল খেলে ৬ চার এবং ৫ ছয়ে ৮১ রানে এক অভাবনীয় ইনিংস সাজান এই ওপেনার। ফলশ্রুতিতে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৯ উইকেটে জয় পায় কুমিল্লা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ১৩৮/৮ (১৮ ওভার)
জ্যাকস ৫৭, আফিফ ২৭, শামীম ২৬;
মুস্তাফিজ ৫/২৭, নাহিদুল ১/২১, তানভীর ১/২১।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ১৪৮/১ (১৬.৩ ওভার)
ইমরুল ৮১*, লিটন ৫৩;
মৃত্যুঞ্জয় ১/২১।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৯ উইকেটে জয়ী।

Advertisement

More in ক্রিকেট