Connect with us

ক্রিকেট

মুশফিকের স্কুপ নাকি দলীয় ব্যর্থতায় হার খুলনার

চট্টগ্রাম পর্বে দ্বিতীয় দিনে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে ফরচুন বরিশাল। আজ খুলনা টাইগার্সকে ১৭ রানে হারিয়েছে তারা। চার ম্যাচে এটি বরিশালের দ্বিতীয় জয়। অন্যদিকে চার ম্যাচে খুলনার দ্বিতীয় হার এটি।

আজ (শনিবার) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে খুব বেশি রান করতে পারেনি বরিশাল। ব্যাটিং অর্ডারে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনলেও দলীয় পারফরম্যান্সে খুব বেশি তারতম্য দেখা যায়নি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে বরিশাল সংগ্রহ করে ১৪১ রান। তবে এই রানটিকেও খুলনার জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং করে তোলে বরিশালের বোলাররা।

শুরুর দিকেই ধাক্কা খায় খুলনা। আর সে ধাক্কা সামলে উঠতে উঠতেই ম্যাচ হাতের বাহিরে। ৪০ রানেই প্রথমে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে খুলনা। আগের দিনের ম্যাচ সেরা আন্দ্রে ফ্লেচার ৪ রানেই ফেরেন সাজ ঘরে। সৌম্য ফেরেন শুন্য হাতে।

ইয়াসির আলী রাব্বি এবং মুশফিকুর রহিমের গড়া জুটি হতে আসে ৪৬ রান। ইয়াসিরের বিদায়ে (২৩) ভাঙ্গে সে জুটি। তবে থিসারা পেরেরার আগমনে মনেই হচ্ছিলো ম্যাচটা জিতে যেতে পারে খুলনা। কিন্তু পেসার শফিকুল ইসলামের বলে টিকে থাকতে পারেন নি মাঠে। ৯ বলে দুই ছক্কা আর এক চারে ১৯ রান করে আউট হন এই শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার।

পেরেরার বিদায়ের পরই ভাঙতে থাকে খুলনার ব্যাটিং। দ্বিতীয় বারের মত ধাক্কার মুখোমুখি হয় তারা। ৬ উইকেটে ১০৮ থেকে চোখের পলকেই যেনো ১২৪ রানে অল-আউট হয়ে যায় তারা।

শেষ দুই ওভারে খুলনা টাইগার্সের দরকার ছিলো ২১ রান। মুশফিক তখনো মাঠে। শেষ ব্যাটার হিসেবে হয়তো দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিলে জিতে যেতে পারতেন এই ম্যাচটা। কিন্তু স্কুপ করতে গিয়ে ফরচুন বরিশালের উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহানের কাছে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। আর তাতেই পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায় খুলনার। গুরত্বপূর্ণ সময়ে স্কুপ খেলে দলকে বিপদে ফেলার দ্বায়ভার তিনি চাইলেও এড়াতে পারেন না।

অন্যদিকে বরিশালের হয়ে খেলতে নামা ক্রিস গেইলের ৪৫ রানের উপর ভর করে বরিশাল সংগ্রহ করে ১৪১ রান। বরিশালের বোলারদের মধ্যে মেহেদী হাসান রানা ৩ ওভারে ১৭ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন। আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমান, জ্যাক লিন্টট ২ টি করে উইকেট এবং সাকিব আল হাসান এবং শফিকুল ইসলাম পান ১ টি করে উইকেট।

খুলনার হয়ে কামরুল হাসান, থিসারা পেরেরা এবং রেজা নেন সর্বোচ্চ ২ টি করে উইকেট। মেহেদী, শরিফুল্লাহ এবং প্রসন্ন পান ১ টি করে উইকেট।

Advertisement

More in ক্রিকেট