Connect with us

ক্রিকেট

বিপিএল মাতাতে বাংলাদেশের আকাশে ভারতীয় চাঁদ

ভারতীয় ক্রিকেটারদের বাইরের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতে খেলার সুযোগ নেই। তবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলতে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশে এসেছেন চাঁদ। কীভাবে তিনি বিপিএলে খেলবেন তা এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাতীয়তায় ‘ভারতীয়’ হলেও এখন আর তিনি ‘ভারতীয় ক্রিকেটার’ নন। এই পরিচয় ছেঁটে ফেলার পর চাঁদ বিভিন্ন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন। প্রথম ভারতীয় হিসেবে তিনি খেলেন অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে। আর এবার বিপিএলে মাঠে নামার অপেক্ষায় ২৯ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।

বিপিএল খেলতে বাংলাদেশে ভারতের চাঁদ

বিপিএল খেলতে বাংলাদেশে ভারতের চাঁদ

এর মধ্যে মিরপুরের অ্যাকাডেমি মাঠে অনুশীলনও করেছেন চাঁদ। বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটে চাঁদের নামের পাশে জাতীয়তা ‘ভারতীয়’ উল্লেখ থাকলেও চাঁদের ঠিকানা এখন যুক্তরাষ্ট্র। ২০২১ সালের অগাস্টে ভারতের ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান।

নতুন পরিচয়ে মেলবোর্ন রেনেগেডসের হয়ে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে বিগ ব্যাশ খেলেন তিনি। নভেম্বরে বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটে ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে থাকা এই ব্যাটসম্যানকে দলে নেয় চট্টগ্রাম।

অথচঁ একসময় চাঁদের আবির্ভাব হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটে আলো ছড়ানোর সম্ভাবনা নিয়ে। তার নেতৃত্বেই ২০১২ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয় করে ভারত। বিশ্বকাপের আগে চার জাতির একটি অনূর্ধ্ব-১৯ সিরিজের ফাইনালে ভারতকে শিরোপা এনে দেন তিনি। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন। পরে বিশ্বকাপের ফাইনালেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই সেঞ্চুরি করে দলকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় নেতৃত্ব দেন সামনে থেকে।

তখন ভারতীয় ক্রিকেটের পরবর্তী তারকা হিসেবেই ভাবা হচ্ছিল চাঁদকে। ১৮ বছর বয়সে আইপিএলের স্বাদও পেয়ে যান তিনি।

আরও পড়ুন….২০২২ সালে ২৫৬ কোটি রুপি আয় কোহল।।

আইপিএলে খুব ভালো করতে না পারলেও ভারতের ‘এ’ দলে নিয়মিত মুখ ছিলেন তিনি। তার নেতৃত্বে ২০১৫ সালে নিউ জিল্যান্ড ‘এ’ ও বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বিপক্ষে জেতে ভারত। এরপর থেকেই শুরু উল্টো যাত্রা।

আইপিএলে জায়গা হারানোর পর ঘরোয়া ক্রিকেটে দিল্লি দলেও ব্রাত্য হয়ে পড়েন প্রতিভাবান এই ব্যাটসম্যান। তাই ঠিকানা বদলে ২০১৯-২০ মৌসুমে উত্তরাখণ্ডের হয়ে পেশাদার ক্রিকেট খেলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সেখানেও পাননি সাফল্যের দেখা। ক্রমেই নরম হতে থাকে পায়ের তলার মাটি।

একটা পর্যায়ে হাল ছেড়ে দেন লড়াইয়ে। ভারতীয় ক্রিকেট ছেড়ে দেন। পরিসংখ্যানই বলে দেয়, সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে পারেননি তিনি। ৬৭ প্রথম শ্রেণির ম্যাচে সেঞ্চুরি কেবল ৮টি, ব্যাটং গড় মোটে ৩১.৫৭। লিস্ট ‘এ’ রেকর্ড তুলনামূলকভাবে ভালো। ১২০ ম্যাচে সেঞ্চুরি ৭টি, ব্যাটিং গড় ৪১.৩৩। এই দুই সংস্করণে নতুন কিছু যোগ করার সুযোগ আপাতত নেই তার।

বিপিএলে খেলা নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে চাঁদ বলেন, ‘নানান দেশে লিগ খেলা অবশ্যই ভালো অভিজ্ঞতা। আমি সবসময়ই এসব লিগে খেলতে চেয়েছি। কিন্তু বিসিসিআইয়ে (চুক্তিবদ্ধ) থাকার সময় তা সম্ভব হয়নি। ভারত ছাড়ার পর আমি বিশ্বের নানান লিগে খেলার সুযোগ পাচ্ছি। বিশ্বের সেরা ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খেলতে পারার চেয়ে ভালো আর কী আছে।’

বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেট ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা সবাই দেখেছি তারা ভারতের বিপক্ষে সবশেষ সিরিজে কত ভালো খেলেছে। বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটার বিশ্বের নানা লিগে খেলছে। এটিই বলে দেয় বাংলাদেশের ক্রিকেট অনেক উঁচুতে উঠছে।’

ক্রিকেডট/আইএ

Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Advertisement

More in ক্রিকেট