Connect with us

বিপিএল

নারাইন-তাণ্ডবে চট্টগ্রামকে উড়িয়ে ফাইনালে কুমিল্লা

প্রথম কোয়ালিফায়ারেই কুমিল্লার হাতে সুযোগ ছিলো সরাসরি ফাইনালে যাওয়ার। আর সব দেখে মনেই হচ্ছিলো গত ম্যাচটা কুমিল্লার হাতে। কিন্তু ফরচুন বরিশালের বোলিংয়ের কাছে দূর্বল হয়ে পড়ে কুমিল্লা। যার কারনে সবার প্রথমে ফাইনালে উঠতে পারেনি দলটি। তবে দ্বিতীয় সুযোগে সেই ভুলের পথে আর হাটতে চায়নি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। শুরু থেকেই চট্টগ্রামের বিপক্ষে টর্নেডো চালায় সুনীল নারাইন। আর তাতেই এক উড়ন্ত জয় পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। নিশ্চিত হয় তাদের ফাইনাল।

বিপিএলের ইতিহাসে এবং বাংলাদেশের মাটিতে সবচেয়ে দ্রুততম অর্ধশতকের সাক্ষী হলেন আজ দর্শকরা। এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫০ রানের ইনিংসে সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইকরেটের ইনিংসের দেখা মিললো আজ। মিরপুরের মাঠে আজ সুনীল নারাইন যে তান্ডব দেখিয়েছেন, তাতে রীতিমতো উড়ে গেলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। বোলারদের অসাধারণ নৈপুণ্যের পর ব্যাটাররাও ভুলে যান নি তাদের দায়িত্ব। সুনীল নারাইন-মঈন আলীদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স পায় ৭ উইকেটের বিশাল জয়।

আজ দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ছুঁড়ে দেওয়া ১৪৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৪৪ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে জয় পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আর তাতে দুইবারের বিপিএল চ্যাম্পিয়নরা তৃতীয় বারের মত ফাইনালে উঠে।

ইনিংস শুরু করতে নেমে শুন্য রানে লিটন বিদায় নিলেও গত ম্যাচের ক্ষত থেকেই হয়তো নারাইন মাত্র ১৩ বলে করেছেন অর্ধশতক। শেষ পর্যন্ত মাঠ ছেড়েছেন মাত্র ১৬ বলে ৫৭ রান করে। মেরেছেন ৬ টি ছয় এবং ৫ টি চার। স্ট্রাইকরেট ৩৫৬.২৫।

নারাইনের পরে ছাড়েন নি ডু প্লেসি এবং মইন আলিও। ডু প্লেসি ১৩ বলে ৩০ রান এবং মইন আলি ২৩ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থেকেছেন। আর তাতেই জয় নিশ্চিত হয়ে যায় কুমিল্লার।

চট্টগ্রামের হয়ে শরিফুল ইসলাম, মৃত্যঞ্জয় চৌধুরী এবং বেনি হাওয়েল পান ১ টি করে উইকেট।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ঝড়ের আভাস দিয়ে থেমে যান উইল জ্যাকস। শহিদুলের শিকার হয়ে ৯ বলে ১৬ রান করেই ফিরতে হয় তাকে। এরপর নিয়মিত যেতে থাকে উইকেট। উইকেটের এই নিয়মিত আসা যাওয়ায় খেলার হাল ধরেন মেহেদী হাসান মিরাজ এবং আকবর আলী। মিরাজ করেন ৩৮ বলে ৪৪ এবং আকবর আলীর ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে ৩৩ রান। আর তাতে ভর করেই সর্বশেষ ১৪৮ রানে কুমিল্লার বোলারদের কাছে গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

কুমিল্লার হয়ে মইন আলি এবং শহিদুল ইসলাম নেন সর্বোচ্চ ৩ টি করে উইকেট। এর মাঝে মইন ১ ওভার মেইডেন দিয়ে ওই একই ওভারে নেন ২ টি উইকেট।

চট্টগ্রামকে বশে আনতে ভিন্ন ফন্দি আঁটেন কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। পাওয়ার প্লেতে ছয় ওভারের সবকটিতেই ব্যবহার করেন ভিন্ন ভিন্ন বোলার। আর তাতেই ঘায়েল চট্টগ্রামের ব্যাটিং লাইন-আপ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৯.১ ওভারে ১৪৮ (জ্যাকস ১৬, জাকির ২০, আফিফ ১০, মিরাজ ৪৪, আকবর ৩৩, মৃত্যুঞ্জয় ১৫; শহীদুল ৩ / ৩৩, মঈন ৩ / ২০, মোস্তাফিজুর ১ / ১৩)

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস: ১২.৫ ওভারে ১৪৯ / ৩ (নারাইন ৫৭, ডু প্লেসি ৩০ *, মঈন ৩০ *; শরীফুল ১ / ৩১, হাওয়েল ১ / ১১)

ফল: কুমিল্লা ৭ উইকেটে জয়ী

Advertisement

More in বিপিএল