Connect with us

ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগ

চট্টগ্রামকে হারিয়ে বরিশালের জয়ের ধারা অব্যাহত

জয় দিয়ে বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব শুরু করেছে ফরচুন বরিশাল। জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে স্বাগতিক চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ২৬ রানে হারিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। এই নিয়ে টানা দুই জয় তুলে নিল গত আসরের রানার্সআপরা।

চট্টগ্রামকে হারিয়ে বরিশালের জয়ের ধারা অব্যাহত

চট্টগ্রামকে হারিয়ে বরিশালের জয়ের ধারা অব্যাহত। ছবিঃ সংগৃহীত

টস জিতে বরিশালকে ব্যাটিয়ে পাঠান চট্টগ্রাম অধিনায়ক শুভাগত হোম। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান সংগ্রহ করে সাকিবের দল। জবাবে ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় স্বাগতিকরা।

আজ বরিশালের হয়ে এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে ওপেন করতে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে আজ দারুণ শুরু পেয়েও ইনিংসটা বড় করতে মিরাজ। ১২ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ২৪ রান করে ফিরে যান তাইজুল ইসলামের শিকার হয়ে।

তিন নম্বরে নেমে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীকে টানা দুটি চার মারেন সাকিব। কিন্তু তৃতীয় বলেই সাজঘরে ফিরতে হয় ৮ রান করা বরিশাল অধিনায়ককে।

২১ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৩০ করে বিশ্বনাথের শিকার হয়েছেন এনামুল হক বিজয়। তারপরও ১১ ওভার হওয়ার আগেই ১০০ রান ছুঁয়ে ফেলে বরিশাল।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও হাত খুলে খেলেছেন। তবে ১৭ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ২৫ রানে পৌঁছে যাওয়ার পর অভিজ্ঞ এই ব্যাটার থামেন জিয়াউর রহমানের বলে।

এরপর ঝোড় তুলতে চেয়েছেন ইব্রাহিম জাদরান। ৩৩ বলে ৪ চার আর ৩ ছক্কায় ৪৮ রান করে আবু জায়েদের বলে উইকেট তুলে দেন এই আফগান ব্যাটার।

এদিকে ছয়ে নেমে ২৬ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় অপরাজিত ৫৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ইফতিখার। ওই ইনিংসে ভর করেই আসরের সর্বোচ্চ ২০২ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ পায় বরিশাল।

আরও পড়ুনঃ বিপিএলে দর্শক দেখে খুশি বিসিবি, ফাইনালের আগে থাকবে জমকালো আয়োজন

২০৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ভালো শুরু এনে দেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটার ম্যাক্স ও’দাউদ ও উসমান খান। আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান উসমান। তবে ১৯ বলে ৩৬ রান করে আউট হন তিনি।

এরপর ক্রিজে আসা উন্মুক্ত চাঁদকে সঙ্গে নিয়ে কিছুটা ধীরে হলেও রানের চাকা সচল রাখেন ম্যাক্স। তবে দলীয় ৮১ রানে ২৯ বলে ২৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান ম্যাক্স। তার বিদায়ের পর দ্রুতই আউট হন উন্মুক্ত চাঁদ।

এরপর আফিফ হোসেন ও জিয়াউর রহমান মিলে লড়াই করার চেষ্টা করেন। শেষ ৪ ওভারে জয়ের জন্য ৮২ রান প্রয়োজন হয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। দ্রুত রান তুলতে গিয়ে ২১ বলে ২৮ রান করে সাজঘরে ফিরে যান আফিফ হোসেন।

আফিফের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক শুভাগত হোম। শুভাগতকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান জিয়াউর রহমান। ঝড়ো ব্যাটিং করতে থাকেন তিনি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৩৬ রান প্রয়োজন হয় চট্টগ্রামের। তবে তারা তুলতে পেরেছে ৯ রান।

জিয়াউর ২৫ বলে ৪৭ ও শুভাগত ৬ বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন। বরিশালের পক্ষে সাকিব, খালেদ, কামরুল ও করিম জানাত নেন ১টি করে উইকেট।

Advertisement

More in ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগ