Connect with us

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

একম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে এক নাম্বারে বাংলাদেশ

আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের একটি বাকি থাকতেই সিরিজ জিতে নিলো বাংলাদেশ। সেই সাথে এই জয়ে আরো ১০ পয়েন্ট অর্জন করে আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে গেলো বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের মধ্যকার এই ওয়ানডে সিরিজ আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ। সুপার লিগের প্রথম ওয়ানডেতে টপ অর্ডারে ব্যাটিং ব্যর্থতায় পড়েছিলো বাংলাদেশ। ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে হারের শঙ্কায় টালমাটাল দলকে তখন দুই তরুণ আফিফ হোসেন এবং মেহেদী হাসান মিরাজ ভেড়ান জয়ে।

তবে এবার আর বিপর্যয় নয়। ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। দাপুটে ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহ অর্জন করতে পেরেছে বাংলাদেশ। সাকিব-তামিম বড় ইনিংসের পথে হাটতে না পারলেও সে পথে হেটেছেন লিটন কুমার দাস এবং মুশফিকুর রহিম।

দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে তামিমের পর লিটন কুমার দাস দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরির দেখা পায়। তবে সেঞ্চুরির পথে ছিলো মুশফিকুর রহিমও। কিন্তু শেষমেশ মুশফিক না পারলেও দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিংয়ে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নেন ডানহাতি ওপেনার লিটন কুমার দাস। লিটনের ১৩৬ রানের পাশাপাশি মুশফিকুরের ৮৬ রানের অনবদ্য ইনিংসে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩০৬ রানে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়ার আগে তামিম ইকবাল জানিয়েছিলেন দলীয় সংগ্রহ ২৬০ হলেও তা জয়ের জন্যে যথেষ্ট। কিন্তু লিটন-মুশফিকের ব্যাটিং নৈপুণ্যে তার থেকেও বেশি সংগ্রহ করেছেন বাংলাদেশ দল। এই ম্যাচ জিতলে সিরিজ জেতার পাশাপাশি আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগে একে উঠে যাবে বাংলাদেশ।

তৃতীয় উইকেটে লিটন এবং মুশফিকুর ২০২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। আর তা তৃতীয় উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি রেকর্ড। সবমিলিয়ে এই পার্টনারশিপ বাংলাদেশের পঞ্চম সর্বোচ্চ পার্টনারশিপের রেকর্ড।

১২৬ বলে ১৩৬ রানের ইনিংসের পথে লিটন ১৬ টি চার এবং ২ টি ছক্কা হাঁকান। আর ৯৩ বলে ৮৬ রানের পথে মুশফিকুর রহিম মারেন ৯ টি চার।

আফগানিস্তানের হয়ে ফরিদ আহমেদ সর্বোচ্চ ২ টি উইকেট, রশিদ খান এবং ফজলহক পান ১ টি করে উইকেট।

বাংলাদেশের দেওয়া ৩০৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পাওয়ার প্লে’র ১০ ওভারেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে আফগানিস্তান। ইঞ্জুরির কারনে দলে থাকতে পারেন নি রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তবে তার জায়গায় সূচনা করেন রহমত শাহ।

৩৪ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারানো আফগানিস্তানের চতুর্থ উইকেটে রহমত শাহ ও নাজিবউল্লাহ জাদরান গড়েন ৯০ রানের জুটি। সাজঘরে ফেরার আগে দুজনেই পূর্ণ করেন অর্ধশতক। রহমত শাহ ৭১ বলে ৫২ রান করার পথে হাঁকান ৪ টি চার। আর নাজিবউল্লাহ জাদরান ৬১ বলে ৫৪ রানের পথে মারেন ৭ টি চার। এছাড়াও মোহাম্মদ নবী ৩২ এবং রশীদ খান করেন ২৯ রান।

৩০৬ রানের বিশাল রান তাড়া করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের বোলিং নৈপুণ্যে ৪৫.১ ওভারেই ২১৮ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। আর তাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৮৮ রানের জয় পেয়ে সিরিজ নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের হয়ে বোলিং নৈপুণ্য দেখান তাসকিন এবং সাকিব আল হাসান। দুজনেই পান সর্বোচ্চ ২ টি করে উইকেট। এছাড়াও মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, মাহমুদুল্লাহ এবং আফিফ হোসেন পান ১ টি করে উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

টস : বাংলাদেশ

বাংলাদেশ : ৩০৬/৪ (৫০ ওভার)
লিটন ১৩৬, মুশফিক ৮৬, সাকিব ২০
ফরিদ ৫৬/২, রশিদ ৫৪/১

আফগানিস্তান : ২১৮/১০ (৪৫.১ ওভার)
নাজিবউল্লাহ ৫৪, রহমত ৫২
সাকিব ২৯/২, তাসকিন ৩১/২

ফল : বাংলাদেশ ৮৮ রানে জয়ী।

Advertisement

More in আন্তর্জাতিক ক্রিকেট